ঈমানের আসল স্বাদ বলতে আমরা কি জানি?

ঈমান একটি মহা মূল্যবান জিনিস। দুনিয়ার সব কিছুর চাইতে ঈমানের দাম অনেক বেশি। একজন প্রকৃত ঈমানদার সে তার জীবনের সব কিছুকে ত্যাগ করতে
রাজি, কিন্তু ঈমান থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হতে সে পারেনা । একজন মুমিনের নিকট ঈমানই সবচেয়ে বড় ও মহা মূল্যবান পুঁজি। এছাড়া দুনিয়ার
সব কিছুই তার কাছে তুচ্ছ ও মূল্যহীন। সমগ্র দুনিয়ার ধন-সম্পদ, রাজত্ব, ভোগ সামগ্রী তার ঈমানের সামনে একেবারেই সামান্য। ঈমানের মূল বিষয় হল, আল্লাহর উপর অবিচল, অটুট ও দৃঢ় বিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রেরিত রাসূল ও তার দেওয়া দীনের আনুগত্য অনুস্মরণ। ঈমানের ভিত্তি খুবই মজবুত এবং দৃঢ়।
ঈমানের পরিধি অনেক বেশি ও বিস্তৃত। ঈমানের শাখা প্রশাখা সীমাহিন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তুমি কি দেখ না, আল্লাহ কীভাবে উধারণ পেশ করেছেন? কালিমা তাইয়েবা, যা একটি ভাল গাছেরর ন্যায়, যার মূল সুস্থির আর শাখা-প্রশাখা আকাশে।সেটি
তার প্রতিপালকের অনুমতিতে সব সময় দান করে ফল ; আর আল্লাহ মানুষের জন্য নানা উধারণ প্রদান করেন, যাতে উপদেশ গ্রহণ করে তারা ”।[1]
ঈমান গ্রহণকারী একজন কৃতদাসও বিধাতার নিকট সমস্ত পৃথিবী বিখ্যাত কোনো রাজা মহারাজা বা অনেক বেশি সম্পদের মালিকের চেয়ে অনেক মূল্যবান
বেশি। যে বিশ্বাস একজন কাফির জাহান্নামীকে জান্নাতের সংবাদ দিবে। একজন ব্যক্তির চূড়ান্ত সফলতা ও বিফলতার ফয়সালা প্রকৃতপক্ষে বিশ্বাসের ওপর হয়।
নবীদের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল ঈমান। আল্লাহ তা‘আলার নিকট থেকে তাঁর সকল সংবাদ ও কিতাবের মূল বিষয় ঈমান। এ ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত না
হলে ব্যক্তির নেক আমলের কোনও মূল্যায়ণ বহন করে না। এ ঈমানই ব্যক্তিকে আল্লাহ তালার প্রিয়জন তৈরি করে। তার জীবনের নিরাপত্তা সম্মান আল্লাহর
হেফাজতে থাকে। পৃথিবীর সমস্ত শয়তানি শক্তি ঈমানের দুশমন। মুমিনের কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে শতশত ঐতিহাসিক ঘটনার তৈরি হয়েছে।
“আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালিব (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে রব, ইসলামকে জীবন
বিধান ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল হিসেবে শুধু বিশ্বাস করেনি বরং মনে প্রাণে গ্রহণ করেছেন ও সন্তুষ্ট হয়েছেন, তিনি ঈমানের আসল স্বাদ পেয়েছেন
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন